পিরিয়ড অবস্থায় নিষিদ্ধ ও করণীয় আমল

 


পিরিয়ড অবস্থায় নিষিদ্ধ ও করণীয় আমল -🌿

পিরিয়ড অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত করা যাবেনা, এবং তিলাওয়াতের নিয়তে ছোট এক আয়াতও পড়া যাবেনা। এব্যাপারে হাদীসে আছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন- ঋতুবতী মহিলা এবং গোসল ফরজ হওয়া ব্যক্তি কোরআন পড়বে না।
(সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-১৩১)
অনেকেই মনে করেন কুরআন দেখে পড়া না গেলেও ওজীফার বই ও মোবাইল ফোন থেকে কুরআন পড়া যাবে, এটি ভুল ধারণা। এসময় কুরআন তিলাওয়াতই নিষিদ্ধ। চাই কুরআন দেখে পড়েন বা মোবাইল, কম্পিউটার জাতীয় অন্য কোনো ডিভাইস থেকে। এমনকি মুখস্থ সূরা বা কোনো আয়াতও তিলাওয়াতের উদ্দেশ্য পড়া যাবেনা। তবে কুরআন শিখার উদ্দেশ্যে, বাচ্চাদের শিখানোর জন্য ও মুখস্থ জন্য স্পর্শ ব্যাতিত অল্প অল্প করে ভেঙ্গে শব্দ উচ্চারণ করে পড়তে পারবেন। কুরআন তেলাওয়াত শুনতে পারবেন।
কুরআন পড়া নিষেধ হলেও কুরআনের যে সমস্ত আয়াত দোয়া হিসেবে ব্যবহৃত হয় সে আয়াত গুলো দোয়ার জন্য পড়া যাবে। যেমনঃ রব্বানা আতিনা ফিদ দুনিয়া, সূরা হাশরের শেষ তিন আয়াত, সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত ইত্যাদি ইত্যাদি।
বিপদ আপদ বা বালা মুসিবত হতে মুক্তির জন্যে কুরআনে যে সমস্ত আয়াত রয়েছে, নিজেদের রক্ষার্থে মহিলারা এঅবস্থায় সেগুলোও পড়তে পারবে। যেমনঃ তিন কুল (সূরা ইখলাস, ফালাক, নাস), আয়াতুল কুরসী, দোয়া ইউনুস ইত্যাদি। কিন্তু সুরা কাফিরুন পড়া যাবে না।
.
অনেকেই মনে করেন এসময় হাদীস বা অন্যান্য আরবী লিখিত বই, ইসলামিক বই পড়া ও স্পর্শ করা যাবেনা। অন্যান্য ভাষার মত আরবী একটি ভাষা। অতএব কুরআনের আয়াত ছাড়া আরবী ভাষায় লিখা অন্য যেকোনো কিছুই পড়া ও স্পর্শ করা যাবে। নিষিদ্ধতা কেবল কুরআন তিলাওয়াত ও স্পর্শের ক্ষেত্রে।
পিরিয়ড হলে অনেক মহিলারাই কোনো ইবাদত বন্দেগী করতে পারবেন না মনে করে হীনমন্যতায় ভুগেন। পিরিয়ড মহিলাদের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত এক উপকারী রীতি তাই পিরিয়ড হলে অসন্তুষ্ট হওয়ার কিছু নেই। এসময় যেহেতু নামাজ ও তিলাওয়াত করার সুযোগ হচ্ছেনা সেহেতু বেশি পরিমাণে দোয়া দুরুদ, যিকির ও ইস্তেগফার বাড়িয়ে দিবেন। কেননা সূরা আনকাবুতের ৪৫ নাম্বার আয়াতে যিকিরকে সর্বশ্রেষ্ঠ বলা হয়েছে।
এছাড়াও, আল্লাহর অধিক যিকিরকারী পুরুষ ও যিকিরকারী নারীর জন্য আল্লাহ প্রস্ত্তত রেখেছেন ক্ষমা ও মহাপুরস্কার। (সূরা আহযাব : ৩৫)

No comments

Powered by Blogger.