এক বিশ্বাসঘাতকের কথা

 

এক  বিশ্বাসঘাতকের কথা

কয়েকটা কুকুরের ওপর ভার দেওয়া হয়েছিল একপাল ভেরাকে পাহারা দিতে হবে। মনিব তাদের খুবই ভালোবাসতো। যত্ন করতো, খাওয়াতো, পরাত। একদিন সন্ধ্যেবেলা কুকুর দেখলো একটা নেকড়ে এসে দাঁড়িয়েছে সামনে। বদ মতলব আছে তার। তারা ঘেউ ঘেউ করে ডাকতে শুরু করলো।

ওরে বাপরে, কী ভীষণ ডাক। নেকড়ে ভাবলো। আর কাছে যেতে সাহস হলো না তার। অথচ ভেরাগুলোর ওপর লোভ হয়েছে তার। জে করেই হোক তাদের খেতে হবে। কি করা যায়, ভাবতে ভাবতে একটা দুষ্টু বুদ্ধি এলো তার মনে।


সে দূর থেকে চিৎকার করে বললো- কুকুর ভায়া, আমাকে দেখে এমন জোরে ডাকছো কেন? তোমরা আমার জাত ভাই। ভালো করে ভেবে দেখো তো।তোমাদের সাথে আমার চেহারার কী ভীষণ মিল, তাই না। শুধু একটা তফাৎ আছে। আমি মনের খুশিতে যখন যেখানে যেতে পারি, আর তোমরা বন্দী থাকো। এই জীবন কি তোমাদের ভালো লাগে।

সত্যিই তো, বোকা কুকুরের দল ভাবলো। প্রভুর কাছে খেটে কি লাভ? নেকরে কেমন ইচ্ছে হলে জঙ্গলে চলে যায় মাঠে যায়, ঝর্নার ধারে দাঁড়িয়ে থাকে। আর আমরা কিনা সকাল থেকে সারা রাত বেগার খেটে মরছি।

ঘেউ ঘেউ ডাক বন্ধ করলো তারা। মুখ চাওয়া - চাওয়ি করতে থাকে। চতুর নেকড়ে বুজতে পারছে তার ওষুধ কাজ হয়েছে। গলা চড়িয়ে সে বলতে থাকে - এসো, কুকুর ভাইরা, বেড়া টপকে বাইরে চলে এসো। আমার সঙ্গে জঙ্গলে চলো। দেখবে সেখানে নেকড়ের দল তোমাদের কত ভালোবাসবে, কতো আদর করবে।

বোকা কুকুরেরা বেড়া টপকে বাইরে চলে এলো। চতুর নেকড়ে তাদের নিয়ে গেলো বোনের ভেতর। যেখানেই বসে ছিল আরো একপাল নেকড়ে। তারা হৈ হৈ করে এগিয়ে এলো। কুকুর গুলোকে টুকরো টুকরো করে দিলো।

ভেড়ার পাল আর পাহারা দেবে কে। কুকুরেরা তো আর নেই। লোভী নেকড়ে আবার হেলতে দুলতে এলো সেখানেই। একটা একটা করে ভেরা খেতে কতক্ষণই বা সময় লাগলো তার


উপদেশ : কখনো বিশ্বাসঘাতকতা করতে নেই ।

No comments

Powered by Blogger.