Header Ads

Header ADS

হযরত ফাতেমা (রাঃ) এর জীবনী প্রথম (পর্ব পার্ট ১ )

হযরত ফাতেমা (রাঃ) এর জীবনী  প্রথম (পর্ব পার্ট ১ )



 জন্মগ্রহণ :

তিনি প্রিয়নবী (সাঃ)-এর নবুওয়াতের পাঁচ বছর পূর্বে নারীকুলের শিরমনি বিবি খাদীজা (রাঃ) আনহার ৫০ বছর বয়ক্রম কালে পবিত্র মক্কায় জনুগ্রহণ করেন।
বিবাহের পয়গাম :
নবী কন্য হযরত ফাতেমার (রাঃ) বয়স যখন ৫ বছর ১৫ মাস হয়েছিল তখন হতে তার বিবাহের পয়গাম আসতে শুরু করল।
বিবাহ :
বিবাহের সময় হযরত আলী (রাঃ)-এর আনহুর বয়স ছিল ২১ বছর আর নবী কন্যার বয়স হয়েছিল ১৫ বছর ৫ মাস । পিতৃহীনতার ব্যাথা : প্রসিদ্ধ বর্ণনা মতে নবী দুলালী হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর ২৯ বছর বয়ক্রম কালে প্রিয়নবী (সাঃ) ইহধাম ত্যাগ করেন।
ইহধাম ত্যাগ : নবীয়ে দোেজ্জাহান হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর ইহধাম ত্যাগের মাত্র ছয় মাস পর নবী কন্যা হযরত ফাতেমা (রাঃ) আনহা ২৯ বছর ছয়মাস বয়সে ইহধাম ত্যাগ করেন। জানাযার ইমাম : প্রখ্যাত সাহাবী হযরত আব্বাস (রাঃ) আনহু তার জানাযার নামাজ পড়ায়েছিলেন।
দাফন : তাঁকে জান্নাতুল বাকীতে দাফন করা হয়।
আওলাদ : নবী কন্য হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর ৫ জন ছেলে মেয়ে-১. হাসান (রাঃ); ২. হুসাইন (রাঃ); ৩. মুহসিন (রাঃ); ৪. উম্মেকুলসুম (রাঃ); ৫. যয়নব (রাঃ)। দেহাবয়ব : নবী কন্যা হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর হুলিয়া মুবারকে প্রিয়নবী (সাঃ)-এর সাথে হুবহু মিল ছিল। মর্যদা ও যোগ্যতা : হাদীসের কিতাব গুলোতে নবী দুলালী হযরত ফাতেমা (রাঃ) হতে ১৮টি বর্ণনা পাওয়া যায়।
হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর জন্ম ও পরিচয়
নবী দুলালী রমনী কুল শিরমনি হযরত ফাতেমা জোহরা (রাঃ)-এর পবিত্র নাম জানেনা এমন লোক পৃথিবীর মধ্যে কোথাও পাওয়া যাবেনা । একথা সর্বজন স্বীকৃত। কেননা তার সঠিক পরিচয় সম্পর্কে প্রতিটি মুসলমান জানার কথাও। যেহেতু তিনি হলেন সাইয়্যোদুল কাওনাইন পেয়ারা নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর পবিত্র দেহের অংশ নয়নের মনি কলিজার টুকরা ও সৈয়দ বংশের উৎস ধারা।
কেবল এটুকু বলেই তার সঠিক পরিচয় উপস্থাপনা করা মানেই হল তার সম্পর্কে জানা সম্পূর্ণতা হল না। যেহেতু তিনি ছিলেন খিলাফতে বাশেদার চতুর্থ খলিফা ইসলামের বীর সৈনিক শেরে খোদা হযরত আলী (রাঃ)-এর প্রিয়াতয়া মহিয়সী। মুসলিম বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম শহীদ যাদের নাম ইসলামের ইতিহাসে চির ভাস্কর হয়ে রয়েছে। সেই হযরত ইমাম হাসান ও হযরত ইমাম হোসাইনের শ্রদ্ধেয় জননী ।
হাদীসের এক বর্ণনা হতে জানা যায় নবী নন্দিনী খাতুনে জান্নাত হযরত ফাতেমা জোহরা জান্নাতী রমনী কুলের সরদার বলে সকলের কাছে পরিচিত থাকবেন। অন্য এক হাদীসের বর্ণনা থেকে জানা যায়। প্রিয় নবী (সাঃ) বলেছেন জান্নাতী নারীদের মধ্যে চারিজন নারী সর্ব শ্রেষ্ঠ।
তারা হলেন ইমরানের কন্যা বিবি মরিয়াম মোজাহামের কন্যা বিবি আছিয়া, খোয়ালিদের কন্যা বিবি খাদিজা এবং মুহাম্মদ (সাঃ)-এর স্নেহের দুলালী রমনী কুল শিরমনি হযরত ফাতেমা (রাঃ)। প্রখ্যাত হাদীস গ্রন্থ বুখারী ও মুসলিম শরীফের হাদীসে উল্লেখ আছে প্রিয়নবী (সাঃ) বলেন কলিজার টুকরা নয়নের মনি হযরত ফাতেমা হল আমার দেহের অংশ।
তাকে যে জন রাগান্তিত করল মনে রাখবে সে আমাকে ক্রোধান্বিত করে আমার সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটাল। মু'মীনদের মা হযরত আয়েশা ছিদ্দিকা (রাঃ) বলেন হে নবী নন্দিনী ফাতেমা তোমার পবিত্র মাথার একগাছি কেশের মর্যাদা নিয়েও যদি আমি জন্ম নিয়ে ধরাধামে আসতে পারতাম তাহলে আমি নিজেকে গর্ব ও ধন্য মনে করতাম ।
অন্য এক বর্ণনায় দেখা যায় উম্মুল মু'মিনীন হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন আমি পেয়ারা নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর পরে নবী নন্দিনী হযরত ফাতেমাতুজ জোহরা (রাঃ)-কে ছাড়া সর্ব গুনে গুনান্বিত এত উত্তম লোক আর কাউকে দেখিনি। উপরে বর্ণিত হাদীসের মাধ্যমে একথাই প্রমাণিত হল যে সারা মুসলিম জাহানের মধ্যে নবী দুলালী হযরত ফাতেমাতুজ জোহরা (রাঃ)-এর সম্মান মর্যাদা সকলের ঊর্ধ্বে।
সম্মান ও মর্যাদার দিক দিয়ে ইহজগতে যেমনি সকলের শীর্ষে তেমনি পরজগতের বেহেশত বাসিনী নারীদের সর্দার রূপে গন্য হবেন। ফাতেমা (রাঃ) কেবল প্রিয় নবী (সাঃ)-এর স্নেহের দুলালী ও কলিজার টুকরা ছিলেন বলেই সম্মান মর্যাদার দিক দিয়ে সকলের শীর্ষে একথা বলা ঠিক হবেনা। কেননা তিনি ছিলেন ধর্ম জ্ঞানে গুনে, চরিত্রে মহিমায় ইবাদত বন্দেগীতে, ত্যাগ সাধনায়, কষ্ট সহিষ্ণুতায় সকল নারীদের ঊর্ধ্বে। তার মধ্যে সর্বগুণের সমাহার ঘটেছিল বলেই তো তার সম্পর্কে হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে-
হারত ফাতেমা (রাঃ) প্রিয় নবী (সাঃ)-এর দরবারে কোন প্রয়জনে আগমন করলেও প্রিয় নবী (সাঃ) তার মর্যাদা ও সম্মানার্থে এগিয়ে গিয়ে তার হাতে ধরে নিয়ে এসে নিজের কাছে বসতে দিতেন এবং বসার সাথে সাথেই স্নেহ মায়া মমতার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে হাত ও মাথায় স্নেহ চুম্বন করতেন।
অন্য এক বর্ণনা হতে জানা যায় যে, “প্রিয় নবী (সাঃ) কোথাও কোন উদেশ্যে রওয়ানা হওয়ার সময় বিবি ফাতিমার সাথে দেখা করে তার কুশলাদি জেনে যেতেন এবং বাহির হতে ফিরে এসেও সর্ব প্রথম বিবি ফাতেমার (রাঃ) সাথে দেখা করতেন এবং তার কুশলাদি জানার জন্য বিভিন্ন ভাবে প্রশ্ন করতেন।”

No comments

Powered by Blogger.