রোজাদার বান্দাদেরকে ইফতার করানোর ফজিলত কি

 


⭕ রোজাদার বান্দাদেরকে ইফতার করানোর ফজিলত ⬇️

🔸 যারা মহান আল্লাহ তা'য়ালার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে নিঃস্বার্থভাবে ক্ষুধার্ত মানুষের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করে থাকে, মহান আল্লাহ তা'য়ালা তাদের জন্য জান্নাতের সুসংবাদ দান করেছেন। [সূরা দাহর, আয়াত নং ৫-১২]
🔹 যে ব্যক্তি কোনো রোজাদার বান্দাকে ইফতার করাবে, সে ঐ রোজাদারের সম-পরিমাণ সওয়াব লাভ করবে, এতে রোজাদার বান্দার সওয়াব থেকে কিঞ্চিৎ পরিমান সওয়াবও কম করা হবে না। [সুনানে তিরমিযি- ৮০৭]
🔸 আর কোনো ব্যক্তি যদি কোনো রোজাদার বান্দাকে পানি মিশ্রিত এক কাপ দুধ কিংবা একটি শুকনো খেজুর অথবা এক ঢোক পানি দিয়েও ইফতার করায়, তাহলেও মহান আল্লাহ তা'য়ালা তাকে সেই রোজাদারের সম-পরিমান সওয়াব দান করবেন। [মুসনাদে আহমাদ- ২১১৬৮]
🔹 আর যে ব্যক্তি তার কোনো রোজাদার ভাইকে তৃপ্তি সহকারে ইফতার করাবে, মহান আল্লাহ তা'য়ালা তাকে হাউজে কাউসার থেকে এমন পানীয় পান করাবেন, যার ফলে সে জান্নাতে প্রবেশ করার আগ পর্যন্ত আর কখনও তৃষ্ণার্ত হবে না, সুবহানাল্ল-হ। [সহিহ ইবনে খুজাইমা ১৮৮৭]
🔲 আপনি সারাদিন রোজা রেখে এই বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারবেন না যে আপনার রোজা কবুল হয়েছে কি হয় নি কিংবা আপনি রোজার পরিপূর্ণ সওয়াব পেয়েছেন কি পান নি। কিন্তু আপনি একজন রোজাদার বান্দাকে ইফতার করানোর ফলে সেই রোজাদারের সম-পরিমান সওয়াব লাভ করতে পারছেন, সেই সাথে জাহান্নাম থেকে মুক্তির পরোয়ানা এবং জান্নাত লাভের মতো সুসংবাদ লাভ করতে পারছেন, কেয়ামতের দিন সবচেয়ে কঠিন মুহূর্তে হাউজে কাউসারের পানি পান করতে পারছেন আলহামদুলিল্লাহ।
⭕ মহান আল্লাহ তা'য়ালা যদি আপনাদেরকে সামর্থ্য দিয়ে থাকেন তাহলে এটিও একটি সুবর্ণ সুযোগ রমাদান মাসে নেকির ভান্ডারকে পরিপূর্ণ করে নেওয়ার। হোক না সামর্থ্য যৎসামান্যই, যতটুকু সামর্থ্য আছে ততটুকু দিয়েই রোজাদার বান্দাদেরকে ইফতার করানোর চেষ্টা করবেন ইন শা আল্লাহ। মহান আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের সবাইকে এই নেক আমলটি করার তৌফিক দান করুন, আমিন 💝✅

No comments

Powered by Blogger.