ফেরেসতারা মৃত ব্যাক্তির রুহ নিয়ে যাওয়ার সময় আকাশে কি ঘটে

 


ফেরেসতারা মৃত ব্যাক্তির রুহ নিয়ে যাওয়ার সময় আকাশে কি ঘটে 

,

কোনো ব্যক্তি মৃত্যুর পর তার রুহু যখন ফেরেস্তা নিয়ে যাই তখন আকাশে কি ঘটে। সেই ব্যাক্তি রুহু সর্ব প্রথম কোন দুনিয়ায় গমণ করে। এই হযরত মোহাম্মদ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যখন একজন মুমিন ব্যক্তির মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে আসে তখন জান্নাত থেকে একজন ফেরেস্তা নেমে আসে এরপর চলে আসে মালা কূল মউত । তিনি হলেন মৃত্যু দুদ, মৃত্যু ফেরেস্তা কাওকে বা কিছুকে ভয় পান না যেই ব্যাক্তি মৃত্যু বরণ করবেন সেই ব্যাক্তির মাথার পাশে গিয়ে বসেন এবং বলেন হে প্রশান্ত আত্তা তুমি তমার পালন কর্তার কাছে ফিরে যাও । এরপর রুহু তার শরীর ছেড়ে দিয়ে উপরে ভেসে ওঠে। ঠিক যেভাবে বোতলের মুখ থেকে পানির বিন্দু বেরিয়ে আসে । রুহ চাই শরীর থেকে বেরিয়ে না আসতে ,কিন্তু ফেরেস্তা গণ টা আর হতে দেইনা। চোখের পলকেই রুহ কে ধরে ফেলেন তারা , যাতে করে রুহ কোনো ভাবে মাটিতে পতিত না হয় , অথবা অন্যঠা কিছু না হয় । অতঃপর তারা রুহ তাকে নিয়ে জান্নাতের দিকে চলে যায়। যে কোনো মুমিন ব্যক্তির রুহ নিয়ে যাবার সময় ফেরেশতাগণ অবাক হয়ে যায়, কি সুন্দর আত্তা । তারা বলেন সে এতো সুন্দর এতো সুন্দর তারা যখন এই রুহ নিয়ে প্রথম জান্নাতে প্রবেশ করতে যাবে তখন বলবে দরজাটা খোলা হোক , এরপর দরজাটি খুলে যাবে এবং সেই রুহ কে স্বাগতম জানাবে। সপ্তম জান্নাতে প্রবেশ করতে করতে তখন আল্লাহ তায়ালা বলবে আমার এই বান্দার সমস্ত ইতিহাস জান্নাতে সর্বোচ্চ স্তরে লিখে ফেলো । এরপর তাকে পুনরায় পৃথিবীতে পাঠিয়ে দাও । পৃথিবী থেকে তাকেই পুনোরুধান করবো আমি । এরপর এই আত্তা তার শরীরে প্রবেশ করে । এর মধ্যে দেহটিকে কবরে সাহিতো করা হবে। তারপর কবরে দুজন ফেরেস্তা মুনকার নাকি আসবেন সেই মৃত ব্যাক্তিকে তিনটি প্রশ্ন করতে। তোমার রব কে? তমার দিন কি?এবং মহানবী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম কে দেখিয়ে জিজ্ঞাস করা হবে এই ব্যাক্তি কে। একজন মুমিন ব্যক্তির সাথে এই প্রশ্ন উত্তর আদান প্রদানের সময় টি বেশ দারুণ হবে । তবে একজন অবিশ্বাসী বান্দা যার ঈমান ছিলোনা তার মৃত্যু কি ভাবে হবে , তার আত্মার সাথে কি কি করা হবে। সেই ব্যাপারে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন এই ব্যাক্তির মৃত্যু শুভকর হবে না ।তাদের রুহ যখন মৃত্যু পর বেহেশতে নিয়ে যাওয়া হবে সবচেয়ে গুুত্বপূর্ণ বিষয় হলো তখন তাদেরকে চেনা হবে সবচেয়ে ঘিরনিত আত্তা হিসাবে । সেখানে থাকা পূর্বের রুহ গুলো বলবে এগুলো কেমন বেমানান আত্তা, এগুলো কেমন বিচ্ছিরি জিনিস আনা হয়েছে , এ কেমন নোংরা জিনিস আনা হলো। তারা বলবে যতো বিচ্ছিরি নাম আছে তারা সেগুলো সম্বোধন করবে এই রুহ গুলোকে। তাদেরকে যখন প্রথম বেহেশতে নিয়ে যাওয়া জন্য দরোজা খুলতে বলা হবে তখন টা খুলবে না। এতে প্রিয় নবী বলেছেন জান্নাতের দরোজা তাদের জন্যে কখনো খোলা হবে না , তারা ততো দিন জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। যতদিন না একটি উট একটি সুইয়ের চিত্র দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে । আর টা কখনোই সম্ভব নয়। এরপর আল্লাহ তায়ালা বলবেন তার নাম জাহান্নামের সর্ব স্তরের জন্য লিপি বদ্ধ করা হোক । ফিজ্জিন তথা জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে তাদের জায়গা । তাদেরকে সেখানেই নিক্ষিপ্ত করা হবে। তাদেরকে সেখানেই যেতে হবে। অবশেষে তাদের রুহকে পূনরায় পৃথিবীতে আনা হবে , তাদের দেহে তে স্থানান্তর করার জন্য। এভাবে তাদেরকে কবরে প্রশ্ন করার জন্য অদ্ভুব অবয়ব ধারণ করবেন মুনকার নাকির। তাদেরকে বসানো হবে এবং সেই তিনটি প্রশ্ন করা হবে , তোমর রোব কে? সে কোনো উত্তর দিতে পারবে না তাদের মধ্যে কোনো ভয় থাকবে না অতঃপর তাদের জন্যে আসবে সবছেয়ে ভয়ংকর পরিস্থিতি । তারা কেমন উত্তর দেবে সেই ব্যাপারে প্রশ্ন করলে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিসলেশন করে বলেন , কবর হচ্ছে মানুষের মৃত্যুর পরের জীবন এ প্রথম ধাপ । এই সময়ে সে একজন মুমিন হিসাবে ভালো সময় পার করুক বা ঈমান হীন ব্যাক্তি হিসাবে খারাপ সময় পার করুক তার রুহ সেখানেই সবসময় অবস্থান করবে না তারা তাহলে জান্নাত বা জাহান্নামের যাওয়ার পূর্বে কোথায় থাকবে,পুনোরুধটাপনের পূর্বে তারা কথাই থাকবে। মূলত একজন মানুষ কেমন ছিলো তার উপর নির্ভর করে রুহ গুলো হয়তো বা জান্নাতের মাঝ বরাবর থাকবে অথবা জান্নাতের দরজায় অতবা জান্নাতের চার পাশে। আর যারা কাফের ছিল তাদের সাথে কি হবে? হযরত মোহাম্মদ সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই ব্যাপারে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বপ্ন দেখেছেন, তিনি স্বপ্নে দেখতে পান এক ব্যাক্তি যিনি সবসময় মিথ্যে কথা বলতো, তার মুখের দুই পাশ টেনে ধরে দুই দিকে আটকানো হয়েছে আর একজনের মুখকে পাথর দ্বারা চুর্ণ বিচূর্ণ করতে দেখা গিয়েছে। আর একজন ব্যাক্তি যে নামাজ আদায় করতো না তার মাথাকে পাথর দ্বারা চূর্ণ বিচূর্ণ করতে দেখা গিয়েছে। আর যারা সবসময় বেবিচারে লিপ্ত ছিল তাদেরকে ফুটন্ত আগুনে নিক্ষেপ করতে দেখা গিয়েছে। এই রকম আরো অনেক রকমের সাস্থী দেওয়া হোবে এরকম কাফের দের।

No comments

Powered by Blogger.