Header Ads

Header ADS

জিনার শুরু কখন কিভাবে হয়েছিল

 

জিনার শুরু কখন কিভাবে হয়েছিল


আসসালামু আলাইকুম ,

 সুপ্রিয় আরিয়ান অফিসিয়াল দর্শক বিন্দুরা আপনি কি জানেন যেনার সূচনা কখন ও কি ভাবে হয়েছিল । পৃথিবীতে কোন নফর্মান ব্যাক্তি যেনার গুণাই লিপ্ত হয়েছিল, ও জেনাকারির সাস্থি কি। জানতে হলে গল্পটি শেষ পর্যন্ত দেখতে থাকুন।


সুপ্রিয় দর্শক মানব জাতির আদি পিতা ও মা হাওয়া আলাইহি ওয়া অ্যাসসালাতু আসসালাম। জান্নাতী শয়তানের ধোঁকায় পড়ে জান্নাতী বিশুদ্ধ ফল ভক্ষণ করাই আলাহ তায়ালা তাদের জান্নাত থেকে দুনিয়ায় নামিয়ে দেই। অতঃপর আল্লাহ তায়ালা আদেশেই বাবা আদম ও মা হাওয়া মানব জাতির সন্তান জন্ম দিতে থাকেন। 

হযরত মা হাওয়া আলাইহি ওয়া আসসালাতু আসসালাম এক সঙ্গে জোড়ায় জোড়ায় একটি পুত্র ও একটি কন্যা সন্তান যমজ জন্ম দিতেন  এভাবে তিনি চল্লিশ জোড়া সন্তান জন্ম দিয়েছিলেন । 


তথকালে আল্লাহ বিধান অনুযায়ী প্রথম বারের পুত্রের সাথে দ্বিতীয় বারে কন্যা, ও দ্বিতীয় বারে পুত্রের সাথে প্রথম বারের কন্যা বিবাহ হতো। তখনকার শরীয়ত অনুযায়ী এই রূপ বিবাহ প্রয়োজন ছিলো। কারণ তখন হযরত আদম ও মা হাওয়া ছাড়া পৃথিবীতে আর কোনো মানব ছিলো না। তাদের পুত্র কন্যা সকলে ভাই বোন, কাজেই ভাই বোনদের মধ্যে বিবাহ না হলে তারা সকলেই অবিবাহিত থেকে যেত ফলে পৃথিবীতে আর বংশ বৃদ্ধি হতো না। 

বাবা আদম ও মা হাওয়া আলাইহি ওয়া আসসালাতু আসসালাম এর দুইজোরা সন্তান যথা হাবিল ও লিওজা এবং কাবিল ও আকলিমা ভূমিষ্ঠ হলো।


 শরীয়ত অনুযায়ী প্রথম ছেলে হাবিল এর সাথে দ্বিতীয় তরফার আকলিমার বিয়ে, এবং দ্বিতীয় টরফার কাবিল এর সাথে প্রথম তোরফার মেয়ে লিওজার বিবাহ স্থির হল। কাবিল এর জমজ বোন আকলিমা ছিল লিওযা অপেক্ষা বোন অনেক সুন্দরী ।


 কিন্তু জেদি কাবিল তার জমজ বোন আকলিমা কে বিবাহ করবে কেনো না সে অপরূপ সুন্দরী। কিন্তু তথকলে শরীয়ত মতে টা বৈধ ছিল না। হযরত আদম আলাইহি ওয়া আসসালাতু আসসালাম কাবিলকে বুজাতে লাগলেন, কিন্তু কাবিল তার সিদ্ধান্তে অনর বাবার নির্দেশনা আমলে নিলো না। 


হযরত আদম আলাইহি ওয়া আসসালাতু আসসালাম সমস্যায় পড়লেন। এমন সময় আল্লাহ নিকট হতে আদেশ আসলো হাবিল ও কাবিল উভয়কে আল্লাহ রস্তে কুরবানী করতে হবে। জার কুরবানী আল্লাহর দরবারে গৃহীত হবে সেই আকলিমা কে বিবাহ করবে।


 কাবিল নিজে কৃষি কাজ করতো ফলে সে কিছু গম ও তরকারি আল্লাহ নামে উৎসর্গ করলো। আর হাবিল মেশ চোরাত তাই সে মোটাসোটা একটি মেশ আল্লাহ নামে উৎসর্গ করতে। তারা উভয় একটি পাহাড়ের চূড়ায় রেখে আসলেন।


 লক্ষণীয় হলো কৃষি কাজ পশুপালন এটা পৃথিবীর সূচনাকাল থেকে চলে আসছে। আল্লাহ তায়ালা পৃথিবী আবাদ করতেন, প্রয়োজনীয় গেন নবীদের মাধ্যমে মানব জাতিকে শিখিয়েছেন। অথচ আমরা মানব জাতির ভুল ইতিহাস জেনে থাকি আদি মানুষ নাকি কোনো কৃষি কাজী জানত না, অথচ বাস্তব ইতিহাস তার বিপরীত।


 সুতরাং, হাবিল কাবিল উভইয়ের কুরবানী পাহাড়ে জমা রাখা হলো। তখনকার নিয়ম অনুযায়ী অগ্নিশিখা এসে যার কুরবানী পুড়িয়ে দিতো, তার কুরবানী কবুল বলে বিবেচিত হতো। আর যার কুরবানী অলৌকিক অগ্নিশিখা পুড়িয়ে ছাই করে দিত না সেটা কবুল নই বলে বিবেচিত হতো। নিয়ম অনুযায়ী একটি অগ্নিশিখা এসে হাবিল এর মেষ টাকে পুড়িয়ে দিয়ে গেলো। আর কাবিলের ফসোল তরকারি যথারীতি পড়ে রইলো।


 কাজেই হাবিল যে আকলিমা কে বিবাহ করবে টা সিদ্ধান্ত হয় গেলো। হাবিল ছিল সহজ সরল প্রকৃতি এবং ধর্ম প্রাণ। আর কাবিল ছিল শয়তানের অনুগামী হিংস্র। কাবিল এর কুরবানী গৃহীত না হওয়ায় তার মনে হিংসা উদ্রেক হলো, সে এতটাই উত্তেজিত হয়ে পরল যে, ক্রদের বশবতি  হয়ে হাবিলকে হত্যা করার মনোস্থ করলো। অতঃপর তার অন্তর তার ভাইকে হত্যার প্রতি 

উদ্বুদ্ধ করলো এবং সে তাকে হত্যা করলো। ফলে সে ক্ষতি গ্রস্থদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল। এটাই ছিল পৃথিবীর ইতিহাসের সর্ব প্রথম মানব হত্যা। 


হাবিল এর মৃত্যুর পর কাবিল এর মনে ভয় হলো যে পিতা জানতে পারলে যে ইহার কঠিন বিচার হবে। তাই হাবিলের মৃতদেহ কি করা যায় বা তার লাশকে ঘুম করা যায় কিনা তাই চিন্তা করতে লাগলো। সুপ্রিয় দর্শক আজও হত্যা কারীরা কাবিল এর মত কু চিন্তা করে থাকে । বর্ণিত আছে কাবিল তার ভাই হাবিল এর লাশ কে চল্লিশ দিন পর্যন্ত কাঁধে বহন করে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে থাকে, কিন্তু কি করবে সে কিছু বুজতে পারছিল না।

এ অবস্থায় কাবিল দেখতে পেলো যে দুইটা কাক পরস্পর মারামারি করতে করতে একটি অপরটিকে মেরে ফেললো। তারপর জীবিত কাক টি ঠোঁট দ্বারা মাটি খুঁড়ে একটি গর্ত করে মৃত কাক টি কে পূতে উপরে মাটি দিয়ে ঢেকে সমান করে উড়ে চলে গেলো।


 কাবিল মনোযোগ সহকারে প্রত্যক্ষ করলো আর ভাবলো আমি ও যদি কাকের মতো করি সেটা তো ভালো হয়। আমার ও একটা কাকের সমান বুদ্ধি নেই । অতঃপর সেও কাকের প্রদর্শিত নিয়মে হাবিল এর লাশ মাটির নিচে পুঁতে রেখে চলে গেল।  অতঃপর আল্লাহ তায়ালা এমন একটি কাক প্রেরণ করলেন,সে মাটি খনন করছিল, যাতে তাকে শিক্ষা দেই যে আপন ব্রাদার বা তার মৃতদেহ কি ভাবে আপিত করতে হবে। 


সে বললো আফসোস আমি কি এই কাকের সমতুল্য হতে পারলাম না যে আপন বা তার মৃতদেহ মাটি দ্বারা ঢেকে দেই। অতঃপর সে অনুতাপ করতে লাগলো সুতরাং সে উক্ত নিয়মে ব্রাটার লাশ গোপন করে ফেললো আর সে নিজে খুবই লজ্জিত হতে লাগলো।


 পাপিষ্ঠ কাবিল বাড়িতে ফিরে তার বোন আকলিমা কে কে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে গেলো। এদিকে বাবা আদম হাবিল এর নিহত হওয়ার সংবাদে ভিশন ভাবে দুঃখ পেলেন। তিনি নিখোঁজ হওয়া কাবিল ও আকলিমা সন্ধান করলো অবশেষে তাদের খুঁজে পেলো না। 


আল্লাহ অবাদ্য নফরমান কাবিল তার জমজ বোন আকলিমা কে নিয়ে জঙ্গলে চলে যায়। শয়তানের প্রচনায় দুজন জিনাই লিপ্ত হয়। এবং তারা শয়তানের ধোঁকায় অগ্নি পূজা শুরু করে দেই। তারিফের বর্ণনা অনুযায়ী কাবিল ও তার জমজ বোন আকলিমা সর্বপ্রথম পৃথিবীতে জেনাই লিপ্ত হয়। এবং তারা সর্ব প্রথম প্রকৃতি পূজা শুরু করে। 


এদিকে হযরত আদ ম আলাইহি ওয়া আসসালাতু আসসালাম দীর্ঘদিন কান্নাকাটি করেন। অবশেষ এ আল্লাহ তায়ালা কাবিল এর পরিবর্তে একটি পুত্র সন্তান দান করেন জার নাম হলো শিস। মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে নবুয়তের সমান মর্যাদায় ভূষিত করেন। 


হযরত আদম আলাইহি ওয়া আসসালাতু আসসালাম  হায়াত জিন্দেগি শেষ হয়ে আসলো তিনি তার সকল পুত্র  কন্যা ও  পট্রোদের ডেকে পরস্পর সমান ভাবে এবং সদ ভাবে চো লার উপদেশ দিলেন । তিনি বললেন তার মৃত্যুর পর শিস তার প্রতিনিধি হবে। তার উপদেশ চলার মতো  সবাইকে পরামর্শ দিয়ে চিরো বিদায় নিলেন। 


আদি পিতা হযরত আদম আলাইহি ওয়া আসসালাতু আসসালাম ইন্তেকালের পর, হযরত শিস আলাইহি ওয়া আসসালাতু আসসালাম তারপ্রতিনিধি হলেন।


সুপ্রিয় দর্শক জেনাকারি ব্যাক্তি যদি অবিবাহিত হয় 

তাহলে তাকে একশোটা বেতআঘাত ও একবছরের সেসান্তর রাখতে হবে। আর জেনাকারী যোদি আমি বিবাহিত হই তাহলে তাকে রজমতথা পাথর মেরে হত্যা করতে হয়। আর অবশ্যই এই শাস্তি জনসম্মুখে প্রকাশে কার্যকর রাখতে হবে। এটা হলো দুনিয়ার শাস্তি আর পরকালে রয়েছে ভয়াবহ আযাব। যদি সে তওবা না করে মৃত্যু বরণ করে।


হে আল্লাহ আপনি আমাদের সকল পাপ থেকে হেফাজত করুন।


                 🤲আমিন 🤲

No comments

Powered by Blogger.