রূহ কবজ ও কবরের ঘোষণা (১ম পর্ব)
➤...........রূহ কবজ ও কবরের ঘোষণা (১ম পর্ব)............➤
এই লেখাটা আমি গত বছর দিয়েছিলাম। মানুষের মনে মৃত্যুর ভয় ঢুকে না, আজকাল মানুষ মনে করে মৃত্যু হবে না। তাই আবার দিলাম।
হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ পাক মউতকে সৃষ্টি করে হাজার হাজার বৎসর পর্দার আড়ালে লুকায়ে রেখেছিলেন, তার শরীর আসমান অপেক্ষা বড়, সহস্র বৎসরের রাস্তার দূরত্ব তুল্য লম্বা, সত্তর হাজার জিঞ্জির দ্বারা সে বাঁধা ছিল, ফেরেশতারাও তার নিকট যাইতে পারতো না, চতুর্দিক হইতে তার গর্জন শুনিত। আল্লাহ্ পাক আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করার পর মউতের চতুর্পার্শ্বের পর্দা সরায়ে দিয়ে সকল ফেরেশতাকে, ধীরস্থিরভাবে দাঁড়িয়ে মউতকে দেখতে হুকুম দিলেন, সকলে দাঁড়ায়ে মউতকে দেখতে লাগলো, মউত চক্ষু খুলে পাখা মেলে তাহাদের উপর দিয়ে উড়িয়া যাইতে লাগিল, আর বিরাট আওয়াজে ঘোষণা করতে লাগল,
আল্লাহ্ বিকট সৃষ্টি আমি, মউত আমার নাম
ভবের লীলা সাঙ্গ করা হইলো আমার কাম।
মাতাপিতা হরণ করি এতিম করি ছা,
আওলাদকে হরণ করে কাঁদাই বাবা মা।
ভাইকে নিয়ে কাঁদাই বোন, বোনকে নিয়ে ভাই,
আমার ভীষণ ছোবল হইতে রক্ষা কারো নাই।
স্বামী নিয়ে কাঁদাই বিবি, বিবি নিয়ে স্বামী,
সময় হলে হাযির হবো তোমার নিকট আমি।
-আমি ঘর-বাড়ী দালান-কোঠা খালি করে দেই, আমার হাত হইতে কেহই রেহাই পাবে না। মউতের ঐ ভয়ংকর আকৃতি ও ভয়ংকর আওয়াজ শুনে সব ফেরেশতা বেহুঁশ হয়ে গেল। ঐ হুঁশহারা অবস্থায় তাহাদের দুই হাজার বৎসর চলে গেল, পরে তাহাদের হুঁশ হইলো। মালাকুল মউতের চেহারা ছয় খানা, চারিদিকে চারিখানা উপরের দিকে এক খানা নীচের দিকে একখানা। ডান দিকের চেহারা দিয়ে পূর্ব দিকের মানুষের রূহ কবজ করেন, বাম দিকের চেহারা দিয়ে পশ্চিম দিকের লোকের রূহ বাহির করেন, পিছনের দিকের চেহারা দিয়ে কবিরা গোনাহগারদের রূহ বাহির করেন, সামনের দিকের চেহারা দিয়ে মুমিনদের রূহ বাহির করেন, উপরের দিকের চেহারা দিয়ে আসমানবাসীদের রূহ বাহির করেন, পায়ের নীচের চেহারা দিয়ে জ্বীনদের রূহ বাহির করেন। তার সত্তরখানা পা এবং চারিখানা ডানা আছে। যত সংখ্যক মানুষকে আল্লাহপাক সৃষ্টি করেছেন বা করবেন তত সংখ্যক
চক্ষু ও জিহ্বা তার শরীরে পরিপূর্ণ এবং তত সংখ্যক হাতও তার শরীরে রহিয়াছে। উহা দ্বারা তিনি রূহ বাহির করেন। তার একখানা পা দোযখের পুলের উপর, আর একখানা পা বেহেশতের তখতের উপরে। তার শরীর এত বড় যে, যদি তার মাথার উপরে সারা দুনিয়ার সাগরের পানিও ঢালিয়া দেওয়া হয়, তবে এক বিন্দু পানিও মাটিতে পড়বে না, সারা দুনিয়াই তার সামনে একখানা পান দানের মত ছোট।
২য় পর্ব আসিতেছে, ইনশাআল্লাহ।
No comments