সামিয়ার জীবনী কাহিনী
সামিয়ার জীবনী কাহিনী (3য় পর্ব ),
~ফজরের_আজান।
পর্ব :শেষ।
সামিয়া সালামের উওর দিয়ে এবং উঠে মুসাফাহা করে শয্যায় বসে আছে।সামিয়া আর আবু সাঈদ দুজনে অনেক খুশি।তারা আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া করার জন্য ২ রাকাত নফল নামাজ (সালাতুল শুকূর) আদায় করলো।
হানাফি মাযহাব অনুপাতে রমজানের তারাবির নামাজ ছাড়া অন্যান্য নফল নামাজ জামাতে আদায় করা মাকরূহ ।( ফতোওয়ায়ে উসমানী 1/৪৪৪-৪৫৮)
অতপর স্বামী দুআ করবে এবং স্ত্রী সাথে দোয়ায় শরীক হবে :
হে আল্লাহ আমাকে আমার পরিবারে বরকত ও প্রাচুর্য দান করো এবং ওদের জন্য ও আমার মাঝে বরকত ও মঙ্গল দান করো।হে আল্লাহ যতদিন আমাদের কে এক রাখবেন ততদিন মঙ্গলের উপর আমাদের কে অবিচ্ছিন্ন রাখবেন এবং বিচ্ছিন্ন করলেও মঙ্গলের জন্য আমাদের কে বিচ্ছিন্ন করবেন। আদাবুয যিফাফ( ৯৪- ৯৬পৃ:)
অতপর স্বামী স্ত্রীর ললাটে (কপালে ) হাত রেখে বিসমিল্লাহ বলে এই দুআ পাঠ করবে:
আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন খাইরি হা ওয়া খাইরি মা জাবাল তা হা আলাইহি ওয়া আউযুবিকা মিন শার হা ওয়া শাররি মা জাবাল তাহা আলাইহি।
হে আল্লাহ আমি তোমার নিকট এর মঙ্গল এবং এর মধ্যে তোমার সৃষ্ট প্রকৃতির মঙ্গল প্রার্থনা করছি ।আর তোমার নিকট এর অমঙ্গল এবং এর মাঝে তোমার সৃষ্টি প্রকৃতির অমঙ্গল হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (ইবনে মাজাহ :১৯১৮ সুনান কবরা :১৪২১১)
সামিয়া আবু সাঈদের জন্য উপহার কিনেছে ।একটা টুপি আর জায়নামাজ ।কিন্তু সামিয়া দিতে ভীষণ লজ্জা পাচ্ছে সে কথা বলতে পারছে না।আবু সাঈদ ব্যপার টা বুঝতে পেরে সে তার শৈশব এর নানা পূরোনো গল্প করলো।এতে সামিয়ার ভয় কিছু টা ভেঙেছে।দুজন এ তাদের পছন্দ অপছন্দ জানার চেষ্টা করলো।
পরেরদিন ফজরের নামাজ এর জন্য সামিয়া প্রস্তুতি নিচ্ছে ।আবু সাঈদ মসজিদে গিয়েছে।রাসুল (সা:) বলেছেন : পবিত্রতা ছাড়া সালাত কবুল হয় না।( মুসলিম :২২৪ ,আবু দাউদ ৫৯,ইবনে মাজাহ ২৭১)
রাসুল (সা:) আরোও বলেছেন : একাকী নামাজ আদায়ের চেয়ে জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায়কারী ২৭ গুন বেশি মর্যাদার অধিকারী ।(বুখারী ৬৪৫)
ফজরের আজান হলো।আজানটি সামিয়ার খুব পরিচিত ।আবু সাঈদ বাসায় ফিরলেন ।সামিয়া যদিও প্রশ্নটি করতে দ্বিধায় আছে যে একজন গায়েরে মহরম এর কথা জিঙ্গাসা করা কি ঠিক ? তাও সে মুখ ফশকে বলেই ফেললো যে আজকে যে ফজরের আজান টি দিয়েছে আপনি কি তাকে চিনেন ?
আবু সাঈদ মুচকি হেসে উওরে বললো ঘরের মানুষ এর কন্ঠ চিনেন না ম্যডাম ।সামিয়া উওরে বললো ইয়ে মানে লোকটা কি আপনি??
সামিয়া বলতে বলতে চোখ কান্নায় ঝাপসা হয়ে আসলো তার বুঝতে বাকি রইলো না কিছুই।
সামিয়া মনে মনে আল্লাহ কে শুকরিয়া জানিয়ে বললো: ইয়া রব্বী নিশ্চয় তুমি উওম পরিকল্পনা কারী।
No comments