কালেমার ৫ টি ফজীলত
কালেমার ফজীলত বা পুরস্কার
---------------------------------------------
কালেমার ফজীলত বহু, তার মধ্যে ৫টি ফজীলতের কথা বলতেছি:
কালেমার প্রথম ফজীলত, হুজুরে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি এই কালেমা শরীফকে ছহিহ করে অর্থ বুঝে, নিজ ভাষায় স্বীকার ও ওয়াদা করে এখলাছের সাথে জীবনে একবার মাত্র পাঠ করবে, মহান আল্লাহ তায়ালা দয়া করে তার জীবনের সমস্ত গোনাহ খাতা মাফ করে দিবেন। সুবহানাআল্লাহ।
✓ কালেমার দ্বিতীয় ফজীলত, হুজুরে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি দৈনিক একশতবার এই কালেমা শরীফ পাঠ করবে, মহান আল্লাহ তায়ালা দয়া করে হাশরের ময়দানে তার চেহারাখানা পূর্ণিমার 'চাঁদের চেয়ে বেশি উজ্জল করে দিবেন। সুবহানাআল্লাহ।
কালেমার তৃতীয় ফজীলত, হুজুরে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, হে আমার উম্মতগণ! তোমরা মৃত্যুর সময় মুমূর্ষু ব্যক্তিকে এই কালেমা শরীফ পড়াও, কেননা, যার জীবনের প্রথম এবং শেষ কথা হবে- কালেমা তাইয়্যেবা, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ- আল্লাহ্পাক তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। সুবহানাআল্লাহ।
-- কালেমার চতুর্থ ফজীলত: হুজুরে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, হে আমার উম্মতগণ! তোমাদের ছেলে-মেয়েরা যখন কথা বলতে শিখিবে, তখন তাহাদেরকে এই কালেমা শরীফ শিক্ষা দাও। কেননা, যাদের জীবনের প্রথম এবং শেষ কথা হলো (কালেমায়ে তাইয়্যিবা লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহম্মাদুর রাসূলুল্লাহ) সে নিশ্চয়ই জান্নাতি সে যদি হাজারো বৎসর বেঁচে থাকে, তার পাপের কারণে কোন প্রশ্ন করা হবে না, সে নিস্পাপ মাছুম হবে। সুবহানাআল্লাহ।
কালেমার পঞ্চম ফজীলত: হুজুরে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একদিন মদীনার মসজিদে বসে ছিলেন, এমন সময় তাঁর সাহাবাগণকে বলিলেন, হে আমার সাহাবাগণ! আমি এমন একটি বাক্য জানি যাহা মৃত্যুর সময় পাঠ করলে, দেহ হইতে আত্মা অতি আরামের সহিত বের হয়, এবং মৃত্যুর যন্ত্রনা কমে যায়, মৃত্যুর কিছুক্ষণ পূর্বে তাকে বেহেশতের সুন্দর সুন্দর মনোরম বস্তু দেখানো হয়। উহা দেখে তার মন অত্যন্ত খুশি হয়ে উঠে, তখন সাহাবাগণ আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দয়া করে আমাদেরকে ঐ বাক্যটি শিক্ষা দিন, তখন হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলিলেন, সেই বাক্যটি হলো এই (লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সা:)
কালেমা হাছেল করার তরিকা বা শিখিবার নিয়ম। এই কালেমা শরীফকে আরও বেশি বেশি করে পাঠ করতে হবে। কালেমার মাকছুদ বা ফজীলত জানায়ে জানায়ে আল্লাহর বান্দা-বান্দি দিগকে দাওয়াত দিতে হবে এবং নির্জনে বসে আল্লাহ তায়ালার নিকট প্রার্থনা করতে হবে, হে আল্লাহ আপনার নবী ও ওলী সাহাবাগণ যেইভাবে এই কালেমাকে পাঠ করে গিয়েছেন, সেইভাবে আমাকেও পাঠ করিবার তাওফিক দান করুন! আমিন।
No comments