🌙🌙🌙 মেরাজের বয়ান 🌙🌙🌙 ৭ম পর্ব:
আপনার পরে আর কোন নবী ও রাসুল দুনিয়াতে পাঠাবো না। আপনার উম্মতের মধ্যে কিছু সংখ্যক লোককে আমি বাছাই করে নবীওলা কাজে নিযুক্ত রাখব। তারা তাবলীগ করে দ্বীন জিন্দা রাখবে। আরো কিছু লোককে কোরআন মজীদ হেফজ করবার ক্ষমতা দান করব, যার ফলে কেয়ামত পর্যন্ত উহা জিন্দা থাকবে। এই নেয়ামত আমি অন্য কোন নবীর উম্মতকে দান করি নাই। আজ আপনি আমার নিকট যা কিছু চাইবেন, আমি তাই দান করব। আপনি যদি তামাম দুনিয়ার বাদশাহী সুখ-শান্তি, ধন-দৌলত, হীরা-কাঞ্জন চান, তাহলে বলুন আমি তামাম দুনিয়ার পাহাড়গুলিকে স্বর্ণে পরিণত করে দিব। আপনার ও আপনার উম্মতের হায়াত কেয়ামত পর্যন্ত বাড়িয়ে দিব। আর আপনি আপনার উম্মত নিয়ে কেয়ামত পর্যন্ত রাজত্ব করবেন, তখন আমার নবী বলেন, ওগো আমার মাওলা! দুনিয়া হল মরা লাশ আর মরা জিনিস তালাশ করা হল কুকুরের কাজ, আমি দুনিয়ার ধন-দৌলত বাদশাহী চাইনা, আমি আখেরাতকে ভালবাসি, একথা বলে নবীজী আবার সেজদায় পড়ে কেঁদে কেঁদে বললেন, ওগো রাহমান! তুমি নিজ দয়ার গুণে আমার গুনাহগার উম্মতের গুনাহ্ ক্ষমা করে দাও। মাওলা পাক বললেন, আমি আপনার গোনাহগার উম্মতের তিন ভাগের একভাগকে ক্ষমা করে দিলাম। নবীজী সেজদায় থেকেই রোদন করে বললেন, মাবুদগো! আপনি আমার সমস্ত উম্মতের যাবতীয় গুনাহ্ মাফ করে দেন। আল্লাহ পাক বললেন, আপনি সেজদা হতে মাথা উঠান আমি আপনার উম্মতের তিন ভাগের দুইভাগ উম্মতকে মাফ করে দিলাম। নবীজী মাথা না উঠিয়ে বললেন, মাবুদগো! আমি আমার সমস্ত উম্মতের যাবতীয় গুনাহ মাফের জন্যই প্রার্থনা জানাচ্ছি। মাওলা পাক বললেন, ওগো উম্মতের দরদী নবী! আপনি সেজদা হতে মাথা উঠান, হাশরের মাঠে আপনার উম্মতের ভার আপনার উপর ছেড়ে দিব। আপনি যত পরিমাণ উম্মত নিয়ে রাজী হবেন, আমিও তাতে রাজী থাকব, আপনার এত উম্মতকে মাফ করে দিব যে, আপনি খুশি হয়ে যাবেন। যে ব্যক্তি বিশ্বাসের সাথে কালেমায়ে তৈয়্যেবা পাঠ করবে এবং ঐ অনুযায়ী আমল করবে, তার যাবতীয় গুনাহ মাফ করে দিব। কিন্তু যারা আমার সাথে শেরকী, কুফরী করবে, আমি তাদিগকে কিছুতেই ক্ষমা করব না। নবীজী বললেন, ওগো আমার মাবুদ! আমার উম্মতের মধ্যে একজন ক্ষমার বাকী থাকলেও আমি শান্তি পাব না। আর হাশরের মাঠের কঠিন বিচার হতে আমার দুর্বল উম্মতের হিসাব নিকাশ সহজে গ্রহণ করবেন। আল্লাহ পাক বললেন, যারা সত্যই আপনার খাঁটি উম্মত হবে, সেদিন তাদের কোন ভয় নাই, চিন্তা দুঃখ কষ্ট কিছুই নাই। আপনার উম্মত যদি মনে নেকীর ইচ্ছা করে কিন্তু নেকীটা করতে পারে নাই, তাতেও আমি তাকে একটা নেকী বখশিশ দিব, আর যদি নেকীটা আদায় করে ফেলে, তবে আমি তাকে দশটা নেকী দেব। আর যদি বদীর ইচ্ছা মনে করে বদীর কাজটা না করে, আমি তাকে একটা নেকী দেব। আর যদি বদীটা করে ফেলে তবে আমি তার এক বদী লিখব। একথা শুনে নবী খুশি হয়ে আরজ করলেন, মাবুদ গো! আগেকার দিনের অনেক নবীদের উম্মতগণের কাউকে গোনাহের কারণে শুকর বানিয়েছেন, পাথর মেরেছেন, বানর বানিয়েছেন, আগুনের বৃষ্টি দিয়েছেন, পানিকে রক্ত বানিয়েছেন, উকুন ব্যাঙ দিয়ে আযাব দিয়েছেন, জমিন উল্টিয়ে দিয়েছেন, পানিতে ডুবিয়ে মেরেছেন,
আমার উম্মতগণকে এভাবে পাপের কারণে দুনিয়াতে আযাব দিবেন না। আল্লাহ পাক বললেন, আমি আপনার খাঁটি উম্মতগণকে আযাব দিব না।
নবী আমার এক মনে আগ্রহের সাথে মাওলা পাকের মধুর বাণী শুনে চলেছেন, চারদিক নীরব মহা শূণ্যে তাদের গোপন আলাপ, যে প্রেমের তুফান এত দিন উভয়ের দিলের মধ্যে ছিল আজ মহা মিলনে তা শান্ত রূপ ধারণ করল, অনেক অনেক সময় কাটল, কিতাবে পাওয়া যায়, সাতাইশ বছর এ মধুর লীলায় কেটে যায়। নবী আমার ঐ সময়ের মধ্যে মাবুদের সাথে নব্বই হাজার কালাম পেশ করে ছিলেন, আল্লাহ্ পাক বললেন, হাবীব আমার! এই নব্বই হাজার কথার মধ্যে ত্রিশ হাজার জাহেরী প্রকাশ্য ভাবে প্রচার করবেন। উহা ইলমে শরীয়ত, আর ত্রিশ হাজার কালাম সাধারণের মধ্যে প্রচারণা না করে যাকে উপযুক্ত বলে মনে হবে, শুধু তাদেরকে শিক্ষা দিবেন। উহা ইলমে মারেফাত। আর ত্রিশ হাজার কালাম -উহা শুধু খাস আপনার অবগতির জন্য। উহা কাউকেও জানাবার কোন প্রয়োজন নেই। ঐ ত্রিশ হাজার বাতেনী কালাম শুধু আপনার আর আমার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। অতঃপর আরশের মাঝে নবীজী মাওলা পাকের বহু অলৌকিক কুদরতী লীলাখেলা দর্শণ করে আরজ করলেন, মাবুদগো! আজ আপনি আমাকে অতি দয়া করে মেরাজের মর্তবা দান করেছেন। আমি আপনাকে দেখে, আরশে আযীম দেখে প্রাণ শীতল করার সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু আমার উম্মততো আপনাকে দেখল না। আমি তাদেরকে কি বলে সান্ত্বনা দিব। আল্লাহ পাক বললেন, আমি আজ হতে আপনার উম্মতের জন্য তোহফা স্বরূপ দৈনিক পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামায ফরয করলাম। আর বছরের ৬-মাস রোযা ফরয করলাম। যারা আমার এই আদেশ পালন করবে, তারা আমার প্রিয় বান্দা ও আপনার প্রিয় উম্মত হবে। আমি তাদের যাবতীয় পাপ ক্ষমা করে দেওয়ার ওয়াদা করলাম, আর যারা আমার এই আদেশ পালন করবে না, তাদের জন্য আপনি সুপারিশ করতে পারবেন না। বন্ধুরে! আমি আপনাকে এত উপরে তুলে আমি আল্লাহ নিজে আপনার সাথে দেখা করছি। বন্ধু আপনার উম্মতের মর্তবা আরো বাড়িয়ে দিলাম। আপনার উম্মত নামাযের সেজদায় পড়ে গেলে আমি আল্লাহ নিজে গিয়ে দেখা করব। (আলহামদুলিল্লাহ)। নবী বলেন, পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামায মেরাজের তোহফা পেয়ে আমি খুশি মনে গ্রহণ করে নিলাম। আমি ভাবলাম, অন্যান্য নবীদের উম্মতের নেকীর তুলনায় আমার উম্মতেরা বেশি নেকী অর্জন করবে। আমার নবী আল্লাহ পাকের নূর দর্শন করে, তার সামনে কথা বলে আনন্দে এই চিন্তা করার অবসর পান নি যে, দুর্বল উম্মতগণ এই কঠিন দায়িত্ব পালন করতে পারবে কিনা?
অতঃপর আল্লাহ পাক তার হাবীবকে মেরাজের চৌদ্দদফা দান করলেন। ইসলামী রাষ্ট্রের মৌলিক ধারাগুলো এই যে,
প্রথম দফা
মানুষ একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করবে। আল্লাহ্ ছাড়া আর কারও কাছে মাথা নত করবে না। মনে বিশ্বাস রাখতে হবে যে, তিনি পরম দয়ালু রিযিক দাতা, জীবন দানকারী, মৃত্যু দানকারী। আমাদের সব ইবাদত তারই সন্তুষ্টির জন্য আর কারো জন্য নয়। এটাই আমাদেরকে প্রমাণ করতে হবে। কথায় বা কাজে অথবা বিশ্বাসে আল্লাহর সাথে আর কাউকে শরীক করা যাবে না। শিরকের গুনাহ্ নিশ্চয়ই তিনি মাফ করবেন না।
দ্বিতীয় দফা
মাতা-পিতার তাবেদারী করার হুকুম দিয়েছেন। আল্লাহ পাক তাঁর ইবাদতের পরেই অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণভাবেই বলেছেন,
وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا.
উচ্চারণ: ওয়াবিল ওয়ালিদাইনি ইহসানা।
তোমাদের মাতা-পিতার কোন একজন বা তারা উভয়েই যদি তোমাদের সামনে বুড়ো হয়ে কর্ম ক্ষমতা হারিয়ে তোমাদের সহায়তার মুখাপেক্ষী হয়, তবে তোমরা তাদের কোন কাজে, ব্যবহারে বিরক্ত হয়ে শক্ত কথা বলে ধমক দিও না। নম্র-ভদ্রভাবে কথা বলবে ও নেক নজরে মহব্বতের সাথে তাদের চেহারার প্রতি তাকিয়ে নেকী হাসিল কর। আর তাদের সুখ শান্তির জন্য নিজেকে তুচ্ছ মনে করে দয়ার বাহু বিছিয়ে দাও। আর তাদের জন্য আমার কাছে এই বলে প্রার্থনা কর,
وَقُلْ رَّبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا.
উচ্চারণ: ওয়াকুর রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বা ইয়ানি সাগীরা।
হে প্রভু! আমার মা বাবা যেমনি ছোটকালে আমাকে স্নেহের কোলে লালন-পালন করেছেন, তেমনি তুমিও তাদেরকে তোমার স্নেহের কোলে লালন-পালন কর। মাতা-পিতা সন্তানের জন্য দোয়ার মস্ত বড় গোডাউন। মাতা-পিতা সন্তানের সদ্ব্যবহারে খুশি হয়ে সন্তানের জন্য দোয়া করতে দেরী হয়, মাওলার তরফ হতে কবুল হতে দেরী হয় না। মাতা-পিতার খেদমতকারীগণ দুনিয়া ও আখেরাতে সুখী ও ধন্য হয়ে যাবে। তাকে কারো মুখাপেক্ষী হতে হবে না। আর মাতা-পিতা অসন্তুষ্ট থাকলে দুনিয়া ও আখেরাতে উভয় জাহানে ধ্বংস হয়ে যাবে।
তৃতীয় দফা
তিন প্রকারের মানুষকে তাদের প্রাপ্য দিয়ে দিবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আত্মীয়স্বজন, গরীব মিস্কীন এবং মুসাফির। তোমরা তোমাদের টাকা-পয়সা একা ভোগ করতে পারবে না। আত্মীয়দের মধ্যে যারা গরীব তাদেরকে দান কর। গরীব মিসকীনকে সাহায্য কর। মুসাফিরকে দান কর। আল্লাহ পাক দ্বীন ইসলামের কাজে দান করে তার দ্বীন টিকিয়ে রাখতে বলেছেন।
চতুর্থ দফা
অসৎ পথে টাকা ব্যয় করতে নিষেধ করেছেন। আল্লাহ পাক বলেছেন,
إِنَّ الْمُبَذِّرِينَ كَانُوا إِخْوَانَ الشَّيَاطِينِ
উচ্চারণ: ইন্নাল মুবাযযিরীনা কানু ইখওয়া নাশ শাইয়াত্বীন।
অর্থ: অপচয়কারী আর অন্যায় পথে ব্যয়কারীরা হচ্ছে শয়তানের ভাই।
(সূরা বনী ইসরাইল, আয়াত, ২৭)
পিতা-মাতার সেবা যত্নের প্রতি ব্যয় করা হচ্ছে প্রকৃত ব্যয়ের স্থল। তার পরে ভাই-বোন, দাদা-দাদী, নানা-নানী, ফুফু-খালা, মামু-চাচা, গরীব আত্মীয়-স্বজন, এতিম মিসকীন, মুসাফির, গরীব প্রতিবেশী। এছাড়া মদ্য পান, সুদ, ঘুষ, বেহায়াপনা, নাচ-গান, থিয়েটার জুয়া-হাউজী এসব নিষিদ্ধ কাজে ব্যয় ও সহায়তা করা অত্যন্ত পাপের কাজ। সুতরাং আমাদের টাকা- পয়সা মাল দৌলত খারাপ কাজে ব্যয় না করে আল্লাহর হুকুমের জায়গায় খরচ করলে দেশে কোন খারাপ কাজ প্রশ্রয় পাবে না। দেশে অভাব অনটন থাকবে না। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, রোজ হাশরে আল্লাহর কাছে প্রত্যেক লোককে তার উপার্জিত অর্থ কোথায় খরচ করেছে তার হিসাব দিতে হবে।
পঞ্চম দফা
মৌলিক শিক্ষা হল সীমা নির্ধারণ। আয় বুঝে ব্যয় কর। স্বাভাবিক প্রয়োজনীয় খাতে খরচ কর। যে পরিমাণ খরচ করলে প্রয়োজন মিটে যায়, এর চাইতে অধিক ব্যয় করলে হবে অপচয় বা ইসরাফ, যা আল্লাহর অপছন্দ। আল্লাহ পাক অতিরিক্ত খরচকারীদের পছন্দ করেন না। আবার প্রয়োজনীয় জায়গায় খরচ না করলে হবে কৃপণ। তাই মোমেনেরা এই দুই এর মাঝামাঝি খরচ করবে। অন্যায় পথে খরচ করা বর্জন করে ন্যায় পথে খরচ করতে হবে।
ষষ্ঠ দফা
সন্তান হত্যা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আরবরা এককালে কন্যা সন্তানদেরকে জীবিত কবর দেওয়াকে গৌরবের কাজ মনে করত। তাদের এই সন্তান হত্যা আল্লাহর কাছে এক অমার্জনীয় অপরাধ।
সপ্তম দফা
আল্লাহ পাক যেনা ব্যাভিচারকে সম্পূর্ণ নিষেধ করে বলেছেন,
وَلَا تَقْرَبُوا الزِّنَا إِنَّهُ كَانَ فَاحِشَةً وَسَاءَ سَبِيلًا
উচ্চারণ: ওয়ালা তারাবুঝ ঝিনা ইন্নাহু কানা ফাহিশাতাওঁ, ওয়া সাআ
সাবীলা।
অর্থ: তোমরা যেনা তো করবেই না এবং যেনার নিকটেও যেওনা, কেননা এটা অত্যন্ত নির্লজ্জতা এবং খুবই খারাপ পথ।
(সূরা বনী ইসরাইল, আয়াত, ৩২)
মহান আল্লাহ পাক হুকুম করেছেন, 'তোমরা তো যেনা করবেই না যেনার নিকটেও যেও না।' এমন কোন কাজ করবে না যার ফলে যেনায় লিপ্ত হবার আশংকা থাকে। যাদের সাথে বিবাহ হারাম তাদেরকে ছাড়া অপর কারো সামনে যেওনা। পর্দা করে চল, বেপর্দা হওয়াটাই যিনায় লিপ্ত হওয়ার প্রধান উপকরণ। কাজেই এ ব্যাপারে আমাদের প্রত্যেককে সতর্ক থাকতে হবে।
অষ্টম দফা
কাউকেও খুন করতে নিষেধ করা হয়েছে। কারো উপরে তুমি হস্তক্ষেপ করতে পারনা, এটা শরীয়তের সীমা রেখার বাইরে।
নবম দফা
যেসব ছোট ছোট নাবালেগ ছেলে-মেয়ের পিতা-মাতা মারা গেছে তাদেরকে এতিম বলে, তারা মালের রক্ষণা-বেক্ষণে অক্ষম। তাই তাদের কোন অভিভাবকের দায়িত্ব হল এতিমের মাল কেবল এতিমের জন্যই খরচ করতে পারবে, নিজের প্রয়োজনে খরচ করা বা আত্মসাৎ করতে পারবে না। যারা অন্যায়ভাবে যুলুম করে এতিমের মাল আত্মসাৎ করে, নিঃসন্দেহে তারা তাদের পেটে আগুন ভরে। অচিরেই তারা দোযখের আগুনে জ্বলবে। কাজেই অভিভাবকের অত্যন্ত সংযমের পরিচয় দিতে হবে। যেন এতিমের মাল মাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত খরচ করা না হয়। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেই এতিম ছিলেন। তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি এতিমের মাথায় স্নেহ ভরে হাত বুলায়, সে যেন আমি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মাথায় হাত বুলাইল এবং তার হাতের নীচে এতিমের যতগুলি চুল থাকবে ততসংখ্যক নেকীর ভাগী হবে।
দশম দফা
আল্লাহ পাক নির্দেশ দিয়েছেন,
وَأَوْفُوا بِالْعَهْدِ إِنَّ الْعَهْدَ كَانَ مَسْؤُولاً.
উচ্চারণ: ওয়াআওফু বিল আহ্-দি-ইন্নাল আহ্দা কানা মাসউলা।
অর্থ: ওয়াদা পূরণ কর, নিঃসন্দেহে ওয়াদার ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হবে।
(সূরা বনী ইসরাইল, আয়াত, ৩৪)
কারো সাথে কোন রকমের ওয়াদা বা চুক্তি হলে তা ঠিক মত পালন করা উভয় পক্ষের উপর ফরজ। চুক্তি ভঙ্গের দায়ে কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে। হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মোনাফেকের তিনটি আলামত,
১. মিথ্যা কথা বলা,
২. আমানতের খেয়ানত করা
৩. ওয়াদা ভঙ্গ করা বা পূরণ না করা।
কাজেই যে কোন রকমের ওয়াদা খেলাফ করলে মুনাফিক এর কাতারে শামিল হতে হবে। আর মুনাফিকের শেষ পরিণতি হচ্ছে জাহান্নামের সর্ব নিম্নস্তরের তলদেশ।
(৮ম পর্ব আসিতেছে ইনশাআল্লাহ)
No comments:
Post a Comment