মেরাজের বয়ান ২য় পর্ব:






জিবরাইল (আঃ) স্বর্গীয় বোরাকে আরোহণ করতে নবীজীকে অনুরোধ করলেন। ইহা শুনে তিনি কি যেন চিন্তা করে চক্ষু হতে দর দর করে অশ্রু ঝরাতে লাগলেন। জিবরাইল (আঃ) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ আপনি কাঁদতেছেন? আল্লাহ পাক আপনাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে স্বর্গীয় বোরাক পাঠিয়েছেন। ইহা আপনার প্রতি আল্লাহ পাকের বিশেষ রহমত যা অন্য কোন নবী রাসুলের ভাগ্যে জোটে নাই। তিনি বললেন, ভাই জিবরাইল (আঃ) আজ আল্লাহ পাক আমার জন্য বোরাক পাঠিয়েছেন আরশে আযীমে যাওয়ার জন্য। আমি যাব আসমানে আর আমার উম্মত থাকবে জমিনে। আর আমি এখন স্বর্গীয় বোরাকে সওয়ার হয়ে আরশ, কুরসি, বেহেশত, দোযখ, ভ্রমণ করবো। আর হাশরের মাঠে আমার উম্মতগণ ক্ষুধায়, পিপাসায়, কাতর হয়ে উলঙ্গ অবস্থায় তামার জমিনের উপর পঞ্চাশ হাজার বৎসরের রাস্তা পায়ে হেঁটে দৌড়াতে থাকবে। আবার হাশরের মাঠ পার হয়ে ত্রিশ হাজার বৎসরের পুলসিরাতের রাস্তা দোযখের উপর দিয়ে কিভাবে অতিক্রম করবে? চিন্তা করে দেখুন তার এরূপ মহা আনন্দের সময় ও উম্মতের কান্ডারী নবীজী তার উম্মতকে ভুলেন নাই। এজন্যই আমাদের নবীকে 'শাফিউল মুজনেবীন' বলা হয়। এমন সময় আল্লাহ পাকের তরফ থেকে বাণী আসল,
يَوْمَ نَحْشُرُ الْمُتَّقِينَ إِلَى الرَّحْمَنِ وَقْدًا
উচ্চারণ: ইয়াওমা নাহশুরুল মুত্তাকিনা ইলার রাহমানি ওয়াফদা।
(সূরা মরিয়ম, আয়াত, ৮৫) অর্থাৎ হে নবী আপনি শান্ত হউন, আপনার খোদাভীরু উম্মতদেরকেও
হাশরের মাঠে এরূপ স্বর্গীয় বোরাক প্রদান করা হবে। তারাও এতে আরোহণ করে হাশরের ময়দান ও পুলসিরাত অতিক্রম করবে। আল্লাহ পাকের এ বাণী শুনে আমার নবী খুশি হয়ে বোরাকে আরোহণ করতে উদ্যত হলেন। অমনি বোরাক ছুটা ছুটি করতে লাগল। জিবরাইল (আঃ) বললেন, হে বোরাক! তুমি কি জান না যে, আল্লাহর হাবীব তোমর পিঠের উপর আরোহণ করে আসমানে যাবেন। কেন তুমি এরূপ বেয়াদবী করতেছ? বোরাক উত্তর করল, তা আমি ভাল জানি। কিন্তু এই নবীকে পিঠে উঠিয়ে পরে যে পিঠ খালি করে নামিয়ে দেব ইহা আমি সহ্য করতে পারব না। যদি তিনি প্রতিশ্রুতি দেন যে, হাশরের মাঠে আমার উপর চড়ে সকলের জন্য সুপারিশ করবেন, তবে আমি সহ্য করতে পারব। এই বলে বোরাক দুই চোখের পানি ছেড়ে দিল, এই কথা শুনে নবীজী বললেন, হে বোরাক! তুমি একটি জানোয়ার হয়ে আমার প্রতি এত মহব্বত রাখ, না জানি আমার উম্মতেরা আমাকে কতইনা ভালবাসে। এই বলে হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কেঁদে বুক ভাসাতে লাগলেন। আর বললেন, হে বোরাক! তুমি অস্থির হইওনা। আমি প্রতিশ্রুতি দিলাম, ঐ কঠিন হাশরের মাঠে আমার গুনাহগার উম্মতের সুপারিশ আমি তোমার পিঠেই সওয়ার হয়ে করব। এই কথা শুনে বোরাক পিঠ নিছু করে দিল। বিশ্ব নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর উপর ভরসা করে,
بِسْمِ اللهِ مَجْرِهَا وَ مُرْسَاهَا إِنَّ رَبِّي لَغَفُورٌ رَّحِيمٌ
উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি মাজরেহা ওয়া মুরছাহা ইন্না রাব্বি লাগাফুর রাহীম। এই দোয়া পড়ে বোরাকে আরোহণ করলেন। জিবরাইল (আঃ) বোরাকের রেকাব কষিয়া ধরলেন। বোরাক মহা আনন্দে বাইতুল মোকাদ্দাসের দিকে ছুটলেন। বিজলীর চেয়ে কয়েক হাজার গুণ গতি পাওয়ার ছিল বোরাকের। মক্কা থেকে বাইতুল মোকাদ্দাস যেতে বোরাকের মাত্র দুই কদম লেগেছে। কয়েক মাসের পথ চোখের একটা পলকে গিয়ে নবী শুনেন, কে যেন মসজিদে আযান দিতেছে। এক স্থানের উপর দিয়ে যাবার সময় একটা সুঘ্রাণ অনুভব হল, তিনি বললেন, ভাই জিবরাইল। এই স্থানটির নাম কি? আর তা কিসের ঘ্রাণ? এখানে একটু বোরাক থামাও, জিবরাইল (আঃ) বোরাক থামিয়ে বললেন, এই স্থানের নাম মাদায়েন, শুয়াইব (আঃ)-এর বাসস্থান। আর এখানেই ফেরাউনের বিবি আছিয়ার কবর আছে। তারই কবর হতে আপনি সুগন্ধি পাইতেছেন। মাদায়েন শহর হতে কিছুদূর গিয়ে জিবরাইল (আঃ) বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! এখানে দুই রাকাত নামায পড়েন। কেননা, এখানে হযরত মুসা (আঃ) আল্লাহ তায়ালার সঙ্গে সরাসরি কথা বলতেন। তিনি সেখানে দুই রাকাত নামায পড়ে বোরাকে আরোহণ করেন। কিছুদূর যাওয়ার পর জিবরাইল (আঃ) বাইতুল লহম পৌছে বললেন, হুযুর এখানেও দুই রাকাত নামায পড়েন। কারণ, এখানে ঈসা (আঃ) ভূমিষ্ঠ হয়েছেন। তিনি সেখানে দু'রাকাত নামায পড়ার পর বোরাকে আরোহণ করার পর দ্রুত অগ্রসর হয়ে আলমে বরযখের দৃশ্য সামনে পড়ে গেল। মানুষের মৃত্যুর পর হতে কেয়ামত পর্যন্ত সমস্ত আত্মা যেখানে থাকে, তাকে আলমে বরযখ বলা হয়। কিছুদূর যাওয়ার পর হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ডান দিক হতে শুনতে পেলেন হে মুহাম্মদ! একটু থামুন। আমাদের একটি কথা শুনুন। তিনি কোন উত্তর দিলেন না। আরো কিছু দূর যাওয়ার পর বাম দিক হতে ডেকে বলতেছে হে মুহাম্মদ! একটু থামুন। আমাদের একটি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যান। এবার তিনি কোনা সাড়া না দিয়ে হযরত জিবরাইল (আঃ)-কে বললেন, এরা কারা এবং কেন আমাকে ডেকেছিল?
জিবরাইল (আঃ) বললেন, হুযুর আপনি তাদের ডাকে সাড়া না দিয়ে খুব ভাল করেছেন, ডান দিকের ডাকটি ছিল ইহুদীদের আত্মার আর বাম দিকের ডাক ছিল খ্রীস্টানদের আত্মার, আপনি যদি ঐ আহ্বানে সাড়া দিতেন তবে আপনার উম্মতগণ ইহুদী ও খ্রীস্টান হয়ে যেত। কিছুদূর যাওয়ার পর দেখলেন, একটি সুন্দরী যুবতী মূল্যবান অলংকার পরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি দয়া করে একবার আমার প্রতি দৃষ্টিপাত করুন। তিনি সাড়া না দিয়ে চুপ করে রইলেন। কিছুদূর যাওয়ার পর দেখেন রাস্তার পার্শ্বে এক কুৎসিত বৃদ্ধা নারী। তিনি বললেন ভাই জিবরাইল এই বৃদ্ধা মহিলা আর ঐ সুন্দরী যুবতীটি কে বা কারা? তিনি বললেন ইয়া রাসুলাল্লাহ! এই বৃদ্ধা ও পূর্বের সুন্দরী একই নারী। প্রথমে সুন্দরী যুবতী সেজে আপনাকে ধোঁকা দিতে চেষ্টা করেছিল। আপনি যখন ফিরেও তাকালেন না, তখন নিরাশ হয়ে তার আসল রূপ দেখিয়ে দিল। আরো কিছুদূর যাওয়ার পর দেখলেন, এক ব্যক্তি বিকট আকৃতি ধারণ করে বিরাট বিরাট আগুনের পাথর নিক্ষেপ করতে করতে তাদের দিকে আসছে। জিবরাইল (আঃ) বললেন, হুযুর পাঠ করুন,
أَعُوْذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّحِيمِ
• উচ্চারণ: আউযু বিল্লাহি মিনাশ শাইতানিররাজীম।
এবং এক মুষ্টি মাটি উঠিয়ে ঐ লোকটিকে লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করুন। তিনি তাই করা মাত্র লোকটি পালিয়ে গেল। তিনি বললেন, ভাই জিবরাইল ঐ লোকটি কে ছিল? জিবরাইল (আঃ) বললেন, এ হলো ইবলিস শয়তান। আল্লাহ পাকের দরবারে আপনার যাওয়া বন্ধ করাই তার উদ্দেশ্য। কিছু দূর যাওয়ার পর একটি সবুজ ক্ষেত দেখতে পেলেন। একদল লোক জমিনে ফসল বুনার সাথে সাথে ফসল হয়ে পাকতে ছিল। আবার তারা মহা আনন্দে পাকা ফসল কাটার সঙ্গে সঙ্গেই ক্ষেত পূর্বের ন্যায় আবার ফুলে ফলে ফসল পেকে ক্ষেত পরিপূর্ণ হয়ে যেতে ছিল। ইহা দেখে নবীজী বললেন, ভাই জিবরাইল এর ভেদ কি? জিবরাইল (আঃ)' বললেন, হুযুর এরা আপনার নেককার মুজাহিদ যারা দ্বীনের জন্য জিহাদ করেছিলেন। জান মাল কোরবান করেছে। তাদের নেক বাড়তে বাড়তে সাতশগুন বেড়ে গিয়েছে। কিছুদূর যাওয়ার পর দেখেন মূল্যবান পোশাকে সেজে একজন যুবক তাদেরকে সালাম করেই অদৃশ্য হয়ে গেল। যুবকটির শরীরের সুঘ্রাণ চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়লো। তাকে দেখে হুযুর এর মায়া হলো তিনি বললেন, ভাই জিবরাইল এই যুবক কে ছিল? জিবরাইল (আঃ) বললেন, উহা মানুষ রুপে ইসলাম ধর্ম। তার প্রতি আপনার মনে যেমন মায়া লেগেছে, তেমনি আপনার খাঁটি উম্মতের মনেও ইসলাম ধর্মের প্রতি মায়া লেগে তার জান মাল কোরবান করবে।✓z
বোরাক এক পলকে বিশ্বনবীকে নিয়ে বায়তুল মোকাদ্দাসে পৌঁছলো অগণিত ফেরেশতা তাঁকে সালাম জানালেন। তিনি ডান পা আগে দিয়ে জিবরাইল (আঃ) সহ মসজিদে ঢুকে দেখেন বিরাট গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমাবেশ। এমন কি সাত আসমানের দরজা খুলে গেল। এমনকি তাদের ভীড়ে মসজিদের ভিতর বাহির ভরে জমিন হতে আসমান পর্যন্ত কাতার বন্দি হয়ে দাঁড়িয়ে গেল। কিন্তু ইমামের মোসল্লা খালি। অতঃপর একামত শুরু হয়ে গেল। জিবরাইল (আঃ) বললেন, হুযুর আপনি কার অপেক্ষা করতেছেন? মোসল্লা আপনার কদমের অপেক্ষায় আপনার পায়ের দিকে তাকিয়ে আছে। হুযুর আজকের রাতের ইমামতি করার উপযুক্ত আপনি ছাড়া আর কেউ নয়। আল্লাহ পাকের ইচ্ছায় বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহু আকবার বলে নামায আরম্ভ করলেন। প্রথম রাকাত ফেরেশতা ও নবীদের জন্য, দ্বিতীয় রাকাত উম্মতের জন্য, তৃতীয় রাকাত আল্লাহ পাকের জন্য, তাই প্রথম রাকাত ওয়াজিব, দ্বিতীয় রাকাত সুন্নত, তৃতীয় রাকাত ফরয। এই তিন রাকাত নামাযই বেতেরের নামাযে পরিণত হল। নামায শেষ হওয়ার পরে জিবরাইল (আঃ) বিশ্বনবীর কানে কানে এসে বললেন, হুযুর আপনি কি জানেন আপনার পিছনে কারা মুসল্লি হয়ে নামায পড়লেন? তিনি বললেন, তা আমি কেমন করে জানবো? জিবরাইল (আঃ) বললেন, এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পয়গাম্বরের রূহসহ আসমানের যাবতীয় কোটি কোটি রহমতের ফেরেশতা, হুর-গেলমান আজকে আপনার পিছনে মুসল্লি হয়ে নামায পড়েছে। এজন্যই আমাদের নবীকে ইমামুল মুরসালিন বলা হয়। ফেরেশতারা উচ্চ কণ্ঠে আওয়াজ তুললেন, মারহাবা মারহাবা ইয়া রাসুলাল্লাহ! মারহাবা, মারহাবা ইয়া হাবিবাল্লাহ! এর মধ্যে নবীজীর সামনে একটি প্লেটে করে তিনটি পেয়ালা আনা হলো। একটিতে ছিল মধু। আরেকটিতে ছিল শরাব। আরেকটিতে ছিল দুধ। তিনি দুধের পেয়ালা গ্রহণ করে দুধ পান করে সামান্য থাকতে পেয়ালা ফেরত দিলেন। জিবরাইল (আঃ) বললেন, হুযুর আপনি দুধ পছন্দ করে বুদ্ধিমানের কাজ করেছেন। তবে যদি সমস্ত দুধ পান করে পেয়ালা খালি করে দিতেন, তাহলে আপনার সমস্ত উম্মত নেককার হয়ে মাফ পেয়ে যেত। এখন কিছু উম্মত বদকার থেকে যাবে। ইহা শুনে তিনি কেঁদে কেঁদে বললেন, ভাই জিবরাইল তা তুমি আগে বলো নাই কেন? এখন আমাকে পুনরায় বাকি দুধ পান করতে দাও। জিবরাইল (আঃ) বললেন, হুযুর! যা হবার হয়ে গেছে। অতঃপর হুযুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বোরাকে আরোহণ করিয়ে ডানে জিবরাইল (আঃ) বামে মিকাইল (আঃ) সামানে ও পেছনে ৭০ হাজার ফেরেশতা মারহাবা! মারহাবা! বলতে বলতে প্রথম আকাশের দিকে নিয়ে ছুটে চলেছেন। একটানে প্রথম আকাশের শেষ সিমানায় বোরাক নবীকে নিয়ে পৌছিয়ে দিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আমি গিয়ে দেখি আকাশের দরজা বন্ধ। জিবরাইল (আঃ) করাঘাত করলে আকাশের দরজা খুলে দেয়া হয়েছে। আমার আল্লাহ পাক বলেন,
الَّذِي خَلَقَ سَبْعَ سَمَوَاتٍ طِبَاقًا.
উচ্চারণ: আল্লাযী খালাক্বা সাবআ সামাওয়াতিন ত্বিবাকা।
আকাশের ৭টি স্তর। সবচেয়ে বড় বৈজ্ঞানিক আর্মস্ট্রং যখন চন্দ্র পিঠে অবতরণ করলেন, তিনি গিয়ে দেখেন চাঁদের মাঝখান দিয়ে ফাটা। তিনি বলেন, চাঁদের মাঝখান দিয়ে ফাটা কেন? তিনি পৃথিবীতে এসে দেখেন কোরআন শরীফ প্রমাণ করল আজ থেকে ১৪ শত বৎসর পূর্বে মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাতের ইশারায় চন্দ্র দুই খণ্ড হয়েছে। এরপরে দুই টুকরা গিয়ে মিললে আজ পর্যন্ত চাঁদের মাঝখান দিয়ে ফাটাটা রয়ে গেছে। চাঁদের মাটি পরীক্ষা করেও দেখা গেল ফাটাটা ১৪শত বছর পূর্বের (ইয়া ইলাহি করদে মুঝকো উসনবীকে সামনে, জিসনে করদি চাঁদকো টুকরা কাফেরু কে সামনে।) কাফেররা বলেছিল, এই চন্দ্রটাকে দুই টুকরা করে দিতে পারলে আমরা তোমাকে নবী বলে মানব। আমার নবী আঙ্গুলের ইশারায় চন্দ্রটাকে দুই টুকরা করে দিয়েছিলেন। আর দেরি নাই মুহুর্তের মধ্যে আমাকে পড়ায়ে দাও,
لا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللَّهِ.
উচ্চারণ: লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।
(৩য় পর্ব আসিতেছে ইনশাআল্লাহ)
No comments