অতিরিক্ত কষ্টে দুঃখে মধ্যে থাকলে আপনি কি করবেন ?

 

অতিরিক্ত কষ্টে দুঃখে মধ্যে থাকলে আল্লাহ তায়ালা কি করতে বলেছেন?

অতিশয় কষ্ট, দুঃখ ও বিপদের মধ্যে একজন মুসলমান কীভাবে আচরণ করবে, এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা কুরআন ও হাদীসের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। নিচে সংক্ষেপে তা তুলে ধরা হলো:


🌧 যখন আপনি দুঃখ-কষ্টে থাকেন, তখন আল্লাহ কী করতে বলেছেন:

1. সবর (ধৈর্য) ধারণ করা

"নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে রয়েছেন।"
📖 [সূরা বাকারা – 2:153]

আল্লাহ তাআলা ধৈর্যধারণকে বিশেষভাবে ভালোবাসেন। কষ্টের সময় উত্তেজিত বা হাল ছেড়ে না দিয়ে ধৈর্য ও দৃঢ়তা রাখাই ঈমানদারের পরিচয়।


2. আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করা – নামাজ ও দোয়ার মাধ্যমে

"তোমরা ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য চাও।"
📖 [সূরা বাকারা – 2:45]

নামাজে দাঁড়িয়ে আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি ও দোয়া করা – এটা একজন মুসলমানের শক্তিশালী অস্ত্র।


3. আল্লাহর জিকির করা ও তাওয়াক্কুল রাখা

"নিঃসন্দেহে আল্লাহর জিকিরে হৃদয় প্রশান্ত হয়।"
📖 [সূরা রা'দ – 13:28]

"যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর ভরসা করে, তিনিই তার জন্য যথেষ্ট।"
📖 [সূরা তালাক – 65:3]


4. নিজেকে পরীক্ষা মনে করা ও আল্লাহর রহমতের আশা রাখা

"আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা ও ধন-সম্পদ, প্রাণ ও ফল-ফসলের ঘাটতির মাধ্যমে। আর ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও।"
📖 [সূরা বাকারা – 2:155]


5. নিজের গুনাহের জন্য ক্ষমা চাওয়া ও তওবা করা

কষ্ট কখনো কখনো আমাদের গুনাহের কাফফারা হয়ে আসে। তাই নিজের ভুলের জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত।


❤️ ছোট কিছু আমল যা দুঃখে-কষ্টে শান্তি দিতে পারে:

  • ❖ "يا حيّ يا قيّوم، برحمتك أستغيث" (হে চিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী! তোমার রহমতের জন্য তোমার সাহায্য প্রার্থনা করছি)

  • ❖ সূরা দুহা ও সূরা ইনশিরাহ পড়া

  • ❖ ইস্তিগফার (আস্তাগফিরুল্লাহ) বেশি বেশি বলা

  • ❖ “حسبي الله ونعم الوكيل” বলা (আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি কত উত্তম সাহায্যকারী)


🕊 মনে রাখবেন:

আল্লাহ কখনো বান্দার ধৈর্য বৃথা যেতে দেন না। কষ্টের পর নিশ্চয়ই সুদিন আসে।

"নিশ্চয়ই কষ্টের সাথে রয়েছে স্বস্তি।"
📖 [সূরা ইনশিরাহ – 94:6]

No comments

Powered by Blogger.