সামিয়ার জীবনী কাহিনী (১ম পর্ব )


সামিয়ার জীবনী কাহিনী  (১ম পর্ব  )

 ~ফজরের_আজান।


রাত ৩.২০ মিনিট।সামিয়া তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য উঠেছে।
তাহাজ্জুদ নামাজের আগে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল করতেন।তারপর নামাজ পড়তেন। ( আবু দাউদ, মিশকাত,১০৮পৃ:)
১। আল্লাহু আকবার। (আল্লাহু সর্বশ্রেষ্ঠ) - ১০ বার।
২। আলহামদুলিল্লাহ। (সমস্ত প্রসংশা আল্লাহর জন্য) -১০ বার।
৩। সবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদীহি ( আমি আল্লাহর প্রসংশা ও পবিত্রতা ঘোষণা করছি )-১০ বার।
৪। আসতাগফিরুল্লাহ (আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা ভিক্ষা করছি )- ১০ বার।
৫। লা ইলাহা ইলাল্লাহু ( আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য আর কেউ নেই )- ১০ বার।
সামিয়া তার প্রয়োজনীয় আমল এবং তাহাজ্জুদ নামাজ শেষ করলো ।এবং প্রতিদিনের মতো আজকেও জায়নামাজে বসে সে আমল করছে এবং ফজরের আজান এর জন্য অপেক্ষা করছে ।মসজিদ থেকে ফজরের আজান ভেসে আসলো সামিয়ার কানে।সামিয়া নিয়মিত নামাজ পড়ে।তাই আশেপাশের প্রায় আজানের আওয়াজ তার কাছে বেশ পরিচিত কিন্তু আজ সামিয়া যে আজানের ধ্বনি শুনলো সেটা পরিচিত নয়। সামিয়া এত সুমধুর আজান এর আগে কখনোই শুনে নি।
রাসুল (সা:) বলেছেন: যে ব্যক্তি দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে আযানের জবাব দেবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (সুনানে নাসাঈ ,হাসান ,হাদীস নং-৬৭৪)।
সামিয়া নামাজ শেষ করে আমল করতে করতে ভোরের আলো দেখা দিলো।
যে ব্যক্তি ফজরের আজানের পর আল্লাহর যিকিরে থাকিয়া সূর্য দয়ের পরে দুই রাকাত নামাজ আদায় করবে সেই ব্যক্তি একটি হজ্ব ও একটি উমরার সমান সোওয়াব লাভ করবে।( তিবরানী )
সারাদিন গড়িয়ে বিকাল হলো।কিন্তু সারাদিন সামিয়া শুধু সেই ফজরের আজানের কথায় ভেবে যাচ্ছে।কে সেই ব্যক্তি ?
যার আজানের ধ্বনিতে এত মাধূর্য।
সামিয়া ভাবতে ভাবতে এমন সময় বাসায় দুজন মহিলা আসলেন।মহিলা দুজন খুবই পর্দানশীল।
তাফসীরে কবিরে আছে:
প্রয়োজনে প্রকাশ্যে বের হতে হলে তারা যেন চাদর দ্বারা তাদের মুখমন্ডল ঢেকে রাখে।
সামিয়ার আম্মা সামিয়াকে নাস্তা তৈরি করতে বললেন।সামিয়া একটু পর নাস্তা নিয়ে গিয়ে তার আম্মাকে দিয়ে নিজের রুমে হাদীসের বই নিয়ে বসলো।
বসার ঘর থেকে কথা ভেসে আসছে ।মহিলা দুজন গতকাল বিকেলে ঢাকা থেকে এসেছেন পাশের বাসার বড় আব্বু দের বাসায় ।
তারা শহরের মানুষ হলেও ইসলামিক ভাবে জীবন যাপন করেন।
তাই তারা তাদের বাড়ির একমাত্র ছেলের জন্য মেয়ে খুজতে এসেছেন ।তাদের পছন্দ অনুযায়ী মেয়ে হতে হবে শান্ত, মিষ্টি, এবং ধার্মিক গুনসম্পূর্ন।
এজন্য পাশের বাড়ির বড় আব্বু সামিয়ার কথায় নাকি তাদের বলেছেন ।
সামিয়া কথাটা শুনা মাএই খুশি হলো এবং সে আল্লাহর কাছে দুয়া করলো :
রব্বানা হাবলানা মিন আজ ওয়াজিনা ওয়া যূররিয়্যাতিনা কবুররতা আইয়ু্ন ওয়াজা আলনা লিল মুত্তাক্বীনা ইমামা।
ইয়া আল্লাহ আপনি আমাকে এমন স্বামী /স্ত্রী এবং সন্তান দান করুন যাদের দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়।আর আপনি আমাকে মুত্তাক্বীদের নেতা বানিয়ে দিন । ( সূরা ফুরকান আয়াত : ৭৪)।
সামিয়াকে এমন সময় তার মা বসার ঘরে আসতে বললো।


                            (৩য় পর্ব আসিতেছে ইনশাআল্লাহ)

No comments

Powered by Blogger.