মালেক ইবনে দিনার (রহঃ) জীবনী
⊕⊕⊕ মালেক ইবনে দিনার (রহঃ) ⊕⊕⊕
মালেক ইবনে দিনার (রহঃ)-এর একটি মাত্র কন্যা সন্তান ছিল। ৭ বৎসর বয়সে ঐ কন্যাটা মারা গেল, তিনি ঐ কন্যার জন্য দিবা-রাত্র রোদন করে কাঁদতে কাঁদতে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিলেন।
একরাত্রে তিনি স্বপ্নে দেখলেন, তাকে একটি বিরাট সাপে তাড়াইতেছে, তিনি দৌড়াইতে দোড়াইতে এক পাহাড়ের কিনারে গিয়ে দেখেন, একটি সুন্দর সাদা পোশাক পরা বুড়া লোক, সেখানে দাঁড়িয়ে আছে। তিনি তাকে দেখে বললেন, বাবা আমাকে তো এই বিরাট সাপে তাড়াইতেছে আমি কোথায় যাব? সে বলল, বাবা আমারতো শরীরে শক্তি নাই। আমিতো ঐ সাপকে মারতে পারছি না। তবে তুমি ঐ পাহাড়ে উঠো তিনি পাহাড়ের উপরে উঠে দেখলেন, সুন্দর একটা অট্টালিকায় বহু বাচ্চারা কচি কণ্ঠে কথা বলতেছে, আর চারদিকে সুন্দর সুন্দর ফুলের বাগান, একটা বাচ্চা বলে উঠলো, দেখে যাও তোমার আব্বা এসেছেন, এমন সময় দেখে তার ঐ মেয়েটা এসে বলে, আব্বা আস্সালামু আলাইকুম, আপনি কেমন করে এখানে আসলেন? তিনি বলেন, মা তোমার জন্য আমি কাঁদতে কাঁদতে পাগল হয়ে যাই। হঠাৎ বিরাট একটা সাপে আমাকে তাড়াইতে থাকে, আমি দৌড়াইতে থাকি এই পাহাড়ের কিনারে এসে একটা বুড়ো লোককে দেখতে পাই, সে আমাকে এই পাহাড়ে উঠতে বলেছে, এখানে এসে তোমাকে পাইলাম। তখন তার মেয়ে বললো, আব্বা ঐ সাপটা হলো আপনার বদ আমল, সে আপনাকে ছোবল মারবার জন্য আপনাকে তাড়াইতে ছিল। আর পাহাড়ের কিনারে সুন্দর বুড়ালোকটা হলো আপনার নেক আমল, আপনি নেক আমল কম করেছেন, সেই জন্য সে বুড়োর ন্যায় দুর্বল হয়ে রয়েছে। তার শরীরে শক্তি নেই, যদি নেক আমল বেশি করতেন, তাহলে সে শক্তিশালি হয়ে ঐ বদ আমল সাপটাকে মেরে ফেলতে পারতো। তখন মালেক ইবনে দিনার (রহঃ) বললেন, মা তাহলে আমি এখন কি করব? মেয়ে বললো, আব্বা আপনি এখন আমার জন্য কান্নাকাটি না করে বেশি বেশি নেক আমল করতে থাকেন। তাহলে আপনার বদ আমলকে নেক আমলে মেরে ফেলবে, বদ আমল আর থাকবে না, আপনি বেহেশতবাসি হয়ে যাবেন। তারপর তার স্বপ্ন ভেঙ্গে গেল, তিনি ইহার পর হতে এতো নেক আমল করা শুরু করে দিলেন এবং বদ আমল করা বন্ধ করে দিলেন যে, ওলি কুতুব হয়ে গেলেন। তার নাম বললে রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলতে হয়। এখান থেকে আমরা শিখলাম এটাই যে, বেশি নেক আমল করলে সে শক্তিশালি হয়ে বদ আমলকে খেয়ে ফেলে। আর নেক আমল সব সময় ভাল জিনিস দেখায়ে দেয়।
জন্ম নিয়া মানবকূলে রইলি মনরে আল্লাহ ভুলে,
সময় বুঝি গেল চলে, না পাইলি তার দিদার।
ডাক তারে অন্তর দিয়া, দিল হবে তর পরিষ্কার।
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সা)
No comments